সরিষাবাড়ি (জামালপুর) সংবাদদাতা ঃ
ভাদ্র মাসের বন্যায় তলিয়ে গেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলায় ৫ টি ইইনিয়নের বিস্তৃত রোপা আমন ধানের ফসলের মাঠ। সেই সাথে তলিয়ে গেছে শাক সবজি,মরিচ,আলু বেগুনসহ বীজ তলা। যে দিকে দু’চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। বন্যার পানি সরিষাবাড়ি জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়ন কামরাবাদ,সাতপোয়া,পোগলদীঘা,আওনা ও পিংনা ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রাম তৃতীয় বারের বন্যায তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে উপজেলার পশ্চিম অঞ্চল যমুনা নদীর পাড়ে গ্রাম গুলোর অবস্থা অত্যন্ত লাজুক। ভাদ্রের বন্যায় তলিয়ে গেছে রোপা আমনের ক্ষেত,মরিচ,আলু,বেগুন,লাউ,করলা,ঝিংগাসহ বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির ও ফল মূলের চাষ। সতুন করে প্লাবিতহচ্ছে বাকী ৩ ইউনিযন। দ্বিতীর বারের বন্যার পর কৃষেকরা পতিত জমি চাষ করে রোপা আমন লগিয়েছিল। ভেবেছিল বন্যা আর আসবে না, এই ভেবে রোপা ধান লাগানোর কাজ শেষ করেছিল। কিন্তু বিধি বাম। কৃষকের আশার মুখে গুড়েবালি বন্যায়।
সাতপোয়া ইউনিয়নের চর জামিরা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন,আমি ১০ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করেছিলাম। সব জমির ফসলই বন্যায তলিয়ে গেছে। কৃসক আফজাল ফকির বলেন,হাতে টাকা কড়ি যা ছিল তা কাজে লাগিয়েছিলাম। নিজের লাগানো চারা ছাড়াও ১০ হাজার টাকার আমন চারা কিনে ১২/১৩ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। বন্যায সব শেষ হয়ে গেছে। পোগল দীঘা ইউনিয়নের কূষক আলতাফ আলী জানান, পানি যে ভাবে দিন দিন বাড়ছে তাতে ফসল কেন বাড়ি ঘর কি ছাড়তে হয নাকি তা আ্ল্লাহই ভালো জানে। কামরাবাদ ইউনিযনের চাষী হেলাল উদ্দিন বলেন,এ কযদিন পানি যে ভাবে বৃদ্ধি পাইছে তাতে ভয় থাকলেও হতাশ হইনি কিন্তু গত দুইদিনের বন্যায় সব শেষ। যে দিকে তাকায পানি আর পানি। ফসলের ক্ষেত পানির ৪/৫ ফুট পানির নিচে। সর্বনাশ আমাদের। আমরা এখন কি করবো, দিশা পাইতেছি না।
সরিষাবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ সিংহ জানান,বন্যার অবস্থা খুবই খারাপ। ক্ষয ক্ষতিও হবে অনেক। তবে সেটা বন্যার পানি নেমে গেলে মাঠে গিযে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নির্ণয করা যাবে।